রায়না বিধানসভায় পদ্ম ফোটাতে তৎপর বিজেপি : দায়িত্বে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আমলা পরেশ দাস

17th December 2020 10:24 pm বর্ধমান
রায়না বিধানসভায় পদ্ম ফোটাতে তৎপর বিজেপি : দায়িত্বে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় আমলা পরেশ দাস


প্রদীপ চট্টোপাধ‍্যায় ( বর্ধমান ) :  বিধানসভা ভোটের ঢাকে এখনও কাঠি পড়েনি । তার আগেই এই রাজ্যে বেজে গিয়েছে  বিধানসভা ভোটের দামামা।শাসক দল বিভিন্ন কর্মসূচীকে সামনে রেখে নেমে পড়েছে দলীয় প্রচারে ।তারই মধ্যে খুব সন্তর্পণে বিজেপি শুরু করে দিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন বিধানসভা ভিত্তিক কৌশল রুপায়নের কাজ।  কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বের মনোনিত ব্যক্তিরা ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু করেদিয়েছেন ।   এবার রায়না বিধানসভায় পদ্ম ফোটাতে সেই দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাক্তন আমলা (আইসিএস )তথা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ট বিজেপি নেতা পরেশচন্দ্র দাস ।দায়িত্ব পেয়েই শুক্রবার দিল্লি থেকে মঙ্গলকোটের বাড়িতে ফিরছেন পরশেবাবু।আগামী রবিবার থেকেই  পরেশবাবু রায়না বিধানসভায় ঘাঁটি গাড়ছেন বলে জানাগিয়েছে ।যদিও পরেশবাবুর রায়নায় আগমনকে কোন আমল দিতে চাইছেন না রায়নার তৃণমূল নেতৃত্ব ।  বিজেপি নেতা পরেশচন্দ্র দাস বৃহস্পতিবার টেলিফোনে জানিয়েছেন ,কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কথা মেনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব  তাঁকে রায়না বিধানসভার ভোট পরিচালনার 
দায়িত্ব দিয়েছেন । দল যে দায়িত্ব দিয়েছে সেই দায়িত্ব পূরণে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন ।  পরেশবাবু দাবি করেন ,“আমরা পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের "একান্ত মানবতাবাদে" শুধু বিশ্বাসি-ই নই, তা বাস্তবেও রূপায়ণ করবো।এখন  পশ্চিম বাংলায় আইনের শাসন বলে কিছু আর অবশিষ্ট নেই। কুশাসন ও নিজ স্বার্থ চরিতার্থকারীদের জন্য বাংলা তাঁর নিজস্ব গৌরব হারিয়ে ফেলেছে । সেই কারণে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রায়না সহ গোটা বাংলায় তৃণমূলের পতন ঘটাতে হবে। বদল ঘটাতে হবে সরকারের ।তার লক্ষেই  রায়না বিধানসভায় পদ্ম ফোটাতে বিজেপি নেতা ও কর্মীরা আর কয়েকদিন পর থেকেই সামাজিক ন্যায় ও সমতার আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে ময়দানে নেমে পড়বে । আর্থ- সামাজিক ও রাজনৈতিক বিকেন্দ্রীয়  করণ ছাড়া সকল মানুষের আর্শীবাদ পাওয়া সম্ভব নয়। তার জন্য রায়নার সকল সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি লড়াইয়ে নামবে  তৃণমূলের বিরুদ্ধে । ”বিজেপি সূত্রে খবর  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শা নিজে  যোগ দেবেন রায়নার জনসভায়।  রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসেরও কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রাক্তন আমলা পরেশচন্দ্র দাস । এদিন তিনি বলেন ,”২০১৯  লোকসভা ভোটে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা আসনে বিজেপির প্রার্থি হয়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। মূলত  রায়নায় তৃণমূলের রিগিংয়ের কারণে তিনি জিততে পারেন নি । তৃণমূল প্রার্থী সুনীল মণ্ডল শুধুমাত্র রায়না বিধানসভা থেকে ব্যপক লিড পেয়ে জয়ী হন ।এবারের বিধানসভা ভোটে রায়নার বিজেপি কর্মীরা সেই রিগিং রুখেই রায়নায় পদ্ম ফোটাবে । পরেশ বাবুর মতে ,এবারের লড়াইটা মানুষের জন্য ও  মানুষের দ্বারা মানুষের লড়াই হবে । ”  রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে পরেশবাবু বলেন ,“এখন পশ্চিম বাংলার কোন রাজনৈতিক ও আর্থিক ভবিষ্যত নেই । মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি বন্দ্যোপাধ্যায়  সোনার বাংলাকে খুনী বাংলায় পরিনত করেছেন। এই বাংলায় এখন বিজেপির  সর্বভারতীয় সভাপতিও আক্রান্ত হন । এই বাংলায়  আইনের শাসন বলে এখন আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।” সেই কারণেই বাংলার মানুষ এবার বাংলায় বিজেপিকেই  ক্ষমতায় আনবেন। বিজেপি-ই একমাত্র দল যারা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করতে বদ্ধ পরিকর ।  রায়না ১ ব্লকের দাপুটে তৃনমূল নেতা তথা সভাপতি বামদেব মণ্ডল যদিও জানিয়েছেন , বিজেপির রায়না বিধানসভা জয়ের স্বপ্ন অধরাই রয়েযাবে । সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেবেন রায়নাবাসী ।কারণ রায়নাবাসী জানেন ,মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৌলতেই রায়না সহ রাজ্যের  সর্বত্র প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে । সেই উন্নয়নের সুফল পাওয়া রায়নার বাসিন্দারা বিজেপিকে প্রত্যাক্ষ্যান করবেন । একই কথা শুনিয়েছেন , রায়না ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসীম পাল ।  তিনি জানিয়েদেন ,এবারও রায়নায় ঘাসফুলই ফুটবে । পরেশচন্দ্র দাসকে একরাশ হতাশা নিয়েই দিল্লি ফিরতে হবে । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।